খুলনার ডুমুরিয়ায় দীর্ঘ দুই মাসের জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানিবন্দি এই এলাকাগুলোতে মাঠের ফসল নষ্ট, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়া, ও পুকুর ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, ফলে স্থানীয়দের আয়ের উৎসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডুমুরিয়ার অন্তত ১০টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পরিবার ঘর ছেড়েছে এবং যাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি তারা ঘরে থেকেই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শোলমারী নদীর নাব্য সংকট, স্লুইসগেটের অচলাবস্থা, ও খাল দখল হওয়ায় পানি নামতে পারছে না। ফলে বাসিন্দারা নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় চলাচল করছেন, এবং পুকুর ও গবাদি পশু পানিতে থাকায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা শুধু স্থানীয় নয়, বরং পুরো খুলনা বিভাগজুড়ে বিস্তৃত।
এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয় এবং এটি জাতীয় পর্যায়ে সমাধান করতে হবে, অন্যথায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ভবিষ্যতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।